সুনামগঞ্জের শাল্লায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের মামলার মূল আসামি ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা শহীদুল ইসলাম স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।
শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। ইউপি সদস্য শহীদুল ছাড়া আরও ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ নিয়ে দুই মামলায় এখন পর্যন্ত ৩০ জনকে গ্রেপ্তার হয়েছে।
এর আগে, গতকাল শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামে হামলার শিকার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি পরিদর্শনে যান সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মশিউর রহমান ও ডিআইজি মফিজ উদ্দিন। তারা জানান, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের দেয়া হয় আর্থিক সহায়তা। এছাড়া, নতুন করে ঘর করে দেয়ার আশ্বাস দেয় প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, গেল ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় হেফাজত নেতা মামুনুল হকের দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে ফেইসবুকে পোস্ট দেন এক হিন্দু যুবক। তার দেয়া স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার জেরে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে এলাকাবাসী ওই যুবককে আটক করে পুলিশের সোপর্দ করে। পরে ওই রাতেই প্রতিবাদ মিছিল করে এলাকাবাসী। পরদিন ১৭ মার্চ সকালে ধর্মীয় উস্কানির অভিযোগে নোয়াগাঁও গ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় শাল্লা থানার পুলিশ অজ্ঞাতনামা দেড় হাজার জনকে আসামি করে মামলা করেছে। এছাড়া হামলা ও লুটপাটের পর বৃহস্পতিবার রাতে হবিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল প্রথম মামলাটি করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয় দিরাইয়ের তাড়ল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম স্বাধীনকে।